বাউফলে দাগ ক্ষতিয়ান আছে জমি নাই

 বাউফলে দাগ ক্ষতিয়ান আছে জমি নাই

এম অহিদুজ্জামান ডিউক ,প্রতিনিধি বাউফল: প্রমত্তা তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙ্গনে ছোট হয়ে আসছে বাউফল উপজেলার মানচিত্র। এরই মধ্যে ১৪টি  গ্রাম বিলীন হয়েছে তেঁতুলিয়া ও লোহালিয়ার নদীর গর্ভে। শতাধীক বসত বাড়ি সহ শত শত একর জমি হারিয়ে গেছে। উজানে বন্যার পানি, অস্বাভাবিক বৃষ্টি ও প্রবল তোড়ে প্রতিদিনই নদীতে হারিয়ে যাচ্ছে উপজেলার কোন না কোন এলাকা।
জানা গেছে, ৪৮৭ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের ১৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত বাউফল উপজেলার তিন দিক দিয়ে বয়ে গেছে প্রমত্তা তেঁতুলিয়া ও লোহালিয়া নদী। এসব ইউনিয়নের প্রায় ২০-২৫টি গ্রাম ইতিমধ্যে নদীগর্ভে হারিয়ে গেছে। ভাঙ্গনকবলিত এলাকাগুলো এসব নদীর তীরে অবস্থিত। এ গ্রামগুলিতে প্রায় অর্ধলাখ মানুষ বসবাস করত। ভাঙ্গনের কবলে পরে সহায় সম্বল হারিয়ে অসহায় হয়ে পরেছে প্রায় ১০-১৫ হাজার মানুষ। সবচেয়ে বেশী ভাঙ্গছে ধুলিয়া, কনকদিয়া, কাছিপাড়া, বগা ধাউরাভাঙ্গা, বামনীকাঠি, কেশবপুর, নাজিরপুর এবং চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন। শত শত একর ফসলি জমি, পুকুর, বসতঘর, মসজিদ মন্দির, স্কুল, মাদ্রসা সহ অনেক প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়ে গেছে। এরসঙ্গে বেঁচে থাকার স্বপ্নবিলীন হচ্ছে নদীভাঙ্গনে সব হারানো মানুষগুলোর। উপজেলা পাঁচটি ইউনিয়নের ১৯টি গ্রাম শুধু উপজেলার মানচিত্রে রয়েছে। রয়েছে দাগ খতিয়ান কিন্তু বাস্তবে তার কোন অস্তিত্ব নেই। স্থানীয়রা জানান, এ বিষয়ে কয়েকবার পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করলেও কোন ব্যবস্থা না নেয়া হয়নি। বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাকির হোসেন বলেন, এ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ভাঙ্গণে কবলে পড়ে দিন দিন তার আয়তন হারাচ্ছে। তবে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে ভাঙ্গনের বিষয়ে দ্রæত ব্যবস্থা নেয়ার জন্যে আবেদন করা হয়েছে ।